খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগ দাবিতে ফের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকাল ৪টা থেকে কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে খানজাহান আলী সড়কের মাঝে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। সাধারণ ছাত্র-জনতার ব্যানারে এই কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতারা অংশ নিয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা) বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছিল।
পুলিশের এস আই সুকান্ত দাশকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর গত বুধবার থেকে কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন বিভিন্ন সংগঠনের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকালে এস আই সুকান্তকে চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার অধিকাংশ সংগঠন আন্দোলন থেকে ফিরে গেলেও পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে।
সোমবার তারা কেএমপি কমিশনার ও দুই উপ-কমিশনারের অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করে। বিকাল ৪টা থেকে কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। অন্য দুটি অফিসের সামনে কোনো বিক্ষোভ হয়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
খুলনা আলিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আব্দুল কাদের বলেন, এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের কোনো আশ্বাস দেয়নি। যতক্ষণ না আমরা সফল হচ্ছি ততক্ষণ আন্দোলন চলমান থাকবে।
খুলনা মহানগর এনসিপি সংগঠক রাফসান রাফিক বলেন, আমরা গত বুধবার থেকে লাগাতর আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি, সেই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আজকে আমাদের কর্মসূচি অনুযায়ী কমিশনারের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছি এবং এখানে আন্দোলনের পরে প্রেস ব্রিফিং করবো।
এদিকে সোমবার দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ এবং জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সমমনা বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বলেছেন, গুটি কয়েক সহযোদ্ধাকে ব্যবহার করে একটি বিশেষ মহল আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করাচ্ছে। কেএমপি কমিশনার পদত্যাগের আন্দোলন বিশেষ মহলের প্ররোচনায় বলে মন্তব্য করেন তারা।
খুলনা গেজেট/হিমালয়/এমএম